অবশেষে ঠিকানা খুঁজে পেলো ভেড়ামারার মুক্তিযোদ্ধারা

কুষ্টিয়া ভেড়ামারা
মাসুদ করিম  ভেড়ামারা কুষ্টিয়া  সংবাদদাতা ঃ
দীর্ঘ ৪ বছর আগে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মান করা হয় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি।  ২ বছর আগে ঘটা করে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সটি উদ্বোধন করেন আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ। তখনও মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়নি ভেড়ামারার মুক্তিযোদ্ধাদের ঠিকানা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। গতকাল মঙ্গলবার অনাড়ম্বরপ‚র্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অবশেষে হস্তান্তর করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের ঠিকানা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স।
১২টি দোকান, ১টি অডিটরিয়াম, অফিস ঘর সহ সার্বক্ষনিক ১ জন মেডিকেল অফিসার চিকিৎসা প্রদান সহ মুক্তিযোদ্ধাদের নানা সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভেড়ামারার ফারাকপুর রেলগেট সংলগ্ন স্থানে অনেক বড় পরিসরে নির্মান করা হয় ৩ তলা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স। প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মান করা হলেও এটি মুলত অকার্যকর ছিল। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের নতুন ঠিকানায় যাওয়ার জন্য বারবার আবেদন করেও অদৃশ্য কোন কারনে তাদের কমপ্লেক্সটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান এবং সহকারী কমিশনার (ভুমি) আনোয়ার হোসাইন মুক্তিযোদ্ধাদের কে বুঝিয়ে দেন। এসময় ভেড়ামারার বীরমুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের পরিবার এবং মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সন্তানসহ প্রায় ২ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভেড়ামারা শাখার সাবেক কমান্ডার আবু দাউদ, মহিউদ্দীন বানাত, বীরমুক্তিযোদ্ধা নজিবুদোল্লাহ খাঁন, জহুরুল ইসলাম বিজলী, ন‚র আলম তাশফের, আনোয়ার হোসেন বাবলু, অধ্যাপক আমিরুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স টি আপনাদের। এটাই হবে আপনাদের প্রানের স্পন্দন। এখানে বাগান সহ নানা শাকসবজিও আপনারা রোপন করবেন। অত্যান্ত খোলা মেলা পরিবেশের এই কমপ্লেক্সটি আপনাদের মনের খোরাক মেটাবে।
শেয়ার করুন