দৌলতপুরে ডিজেল ও পেট্রোলের দোকানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড দেড় কোটি টাকার ক্ষতি।

আজকের খবর দৌলতপুর

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে নামে বেনামে গড়ে উঠেছে জ্বালানি তেল, পেট্রোল, ডিজেল, কেরোসিন, এর মিনি ফিলিং স্টেশন । ঘটছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় গড়ে উঠেছে এ ধরনের মিনি ফিলিং স্টেশন বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসীর সহ সচেতন মানুষ। নিয়মনীতি উপেক্ষা করে গোড়ে তোলা মথুরাপুর বড় বাজারের জিম অ্যান্ড মিম এন্টারপ্রাইজ এর ভিতরে ইলেকট্রিক মটর বসিয়ে চালানো হতো মিনি ফিলিং স্টেশনের কার্যকর্ম। জিম অ্যান্ড মিম এন্টারপ্রাইজের ওই দোকানে ডিজেল, পেট্রল, মোবিল ও কেরোসিন বিক্রি করা হতো। বুধবার রাতে দোকানের মধ্যে থেকে আগুন লাগে । বুধবার রাত সাড়ে দশটার দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট। পরে মিরপুর ও মেহেরপুরের গাংনী থেকে আরও তিন ইউনিট যোগ দেয় আগুন নিয়ন্ত্রণে। ফায়ার সার্ভিসের মোট ৫ ইউনিটের প্রচেষ্টায় রাত ২টা ২০ মিনিটের সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে পুড়ে যায় গোটা দোকানটি। জিম অ্যান্ড মিম এন্টারপ্রাইজের মত দৌলতপুরে প্রতিটা বাজারে গড়ে উঠেছে অনুমোদন বিহীন অবৈধ মিনি ফিলিং স্টেশন । যেমন প্রাগপুর বাজারে মেসার্স আফসারা ট্রেডার্স , ডাংমড়কা বাজারে ৷ হোসেনাবাদ বাজারে রিপেল হোসেনের দোকান । আল্লার দর্গা বাজারে কামাল শাহ্'র দোকান। আবেদের ঘাট বাজারে সবুজের দোকান তারাও কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গড়ে তুলেছে মিনি ফিলিং স্টেশন যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা বলে দাবি এলাবাসীর।এ দিকে মিম এন্ড জিম এন্টারপ্রাইজের মালিক আলহাজ্ব হাসিবুর রহমান বলেন অগ্নিকাণ্ডের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় এক লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার দুপুরে থানায় একটি জিডি করা হয়েছে। তিনি আরো জানান বৈদ্যুতিক শট সার্কিটের কারণে তেলের গোডাউনে
অগ্নিকাণ্ড সূত্রপাত ঘটে। এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলার নির্বাহী অফিসার ওবায়দুল্লাহ বলেন, বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করে কোন ব্যক্তি যদি অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করেন তাহলে অবশ্যই আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো। ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শরীফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন