ক্যাম্পাস ‘শাটডাউন’ ঘোষণার একঘণ্টা পর ক্লাসরুম ফিরে পেল ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগ

আজকের খবর ইবি
ইবি প্রতিনিধি
টানা দুই দিন ধরে ক্লাসরুমের সুষ্ঠু বণ্টনের দাবিতে উত্তাল ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। দ্বিতীয় দিনেও প্রশাসনের সুষ্ঠু বণ্টন না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা ‘শাটডাউন’ ঘোষণা করে। প্রায় এক ঘণ্টা ‘শাটডাউন’ চলার পর নিজস্ব ক্লাসরুম ফিরে পাওয়ার আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা ‘শাটডাউন’ স্থগিত করে। এ সময় তীব্র ভোগান্তিতে পড়েন চারটায় ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাওয়া শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
জানা যায়, গত শনিবার (১৮ জানুয়ারি) থেকেই বরাদ্দকৃত ক্লাসরুম থেকে অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদের দাবিতে আন্দোলন করে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্যের আশ্বাসে শনিবার ১০ মিনিট প্রধান ফটকে তালা মেরে বাস ছেড়ে দেয় শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টা ৫ মিনিটের মধ্যে দখলকৃত রুমগুলো ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস বাস্তবায়ন না হওয়ায় ফের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। তবে সেখানে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল না পেয়ে বিকেল ৩টার দিকে প্রধান ফটকে যান আন্দোলনকারীরা। বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে ক্যাম্পাস ‘শাটডাউন’ ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, ছাত্র উপদেষ্টা, প্রক্টোরিয়াল বডি এবং দুই বিভাগের সভাপতির উপস্থিতিতে সমাধানে পৌঁছালে বিভাগের সভাপতির আহ্বানে প্রায় এক ঘণ্টা পর গেটের তালা খুলে দেন শিক্ষার্থীরা।
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী তাহিরা তারমিম প্রাপ্তি বলেন, “ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের জন্য বরাদ্দকৃত কক্ষগুলো দখল রাখা শুধু বিভাগকেন্দ্রিক সমস্যা নয়, বরং পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা। আমরা আশ্বাস পেয়েছিলাম যে রবিবার সকাল ১১টা ৫ মিনিটের মধ্যে কক্ষ দখলমুক্ত হবে, কিন্তু তা হয়নি। প্রশাসন তাদের কথা রাখতে ব্যর্থ হলে আমরা পুরো বিশ্ববিদ্যালয় ‘শাটডাউন’ করেছি। প্রায় এক ঘণ্টা পর আমাদের চেয়ারম্যান স্যার রুমগুলো দখলমুক্ত হওয়ার কথা জানালে আমরা আন্দোলন স্থগিত করি।”
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী বলেন, “আমি উপ-উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। আমরা সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ রবীন্দ্র-নজরুল ভবনের পূর্বপার্শ্বের সম্পূর্ণ ফ্লোর নিয়ে থাকবে এবং আমরা পশ্চিম পাশের সম্পূর্ণ ফ্লোর ব্যবহার করবো। এখানে আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের যা কিছু রয়েছে, তা সোমবারের মধ্যে স্থানান্তর করা হবে এবং আজ বিকেলের মধ্যেই আমাদের শ্রেণিকক্ষে জিনিসপত্র রাখবো।”
শেয়ার করুন