কুষ্টিয়া পাবলিক স্কুলের উদ্যোগে স্কুল আঙ্গিনায় এই উৎসবের উদ্বোধন করেন কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ড. আমানুর আমান।
কুষ্টিয়া পাবলিক স্কুলের অধ্যক্ষ শাহনাজ আমানের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রবিন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রিকালচার শিক্ষক, ডাক্তার মোহনা আফরোজ ,ইমাম মেহেদী, শর্মিষ্ঠা হোসাইন, নুরুন নাহার রিপা দিনমনি স্কুলের শিক্ষক, ইফফাত জাহান হিরা, মেডিকেল অফিসার ডায়বেটিস হসপিটাল, সিরাজুল হক মুসলিম মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান সুমন, ফারজানা হোসেন শাওন রবি সার্ভিস এজেন্ট, ডাক্তার আনিসুর রহমান আই স্পেশাল মেডিকেল অফিসার কুষ্টিয়া মেডিকেল, নারী উদ্যোগক্তা — রুশিয়া হাসিক রুমা, ফেরদৌসী আক্তার, উর্মি আক্তার, কুয়াশা আক্তার প্রমুখ।
পিঠা উৎসবে গ্রাম-বাংলার বিভিন্ন রকম পিঠাপুলিসহ ছিলো নানা আয়োজন।
বিভিন্ন রকমের পিঠার নামও ছিল বাহারি। যেমন : জামাইবরণ পিঠা, গোলাপফুল,, কুলি পিঠা, কুলসী পিঠা, শিম ফুল, বিনি চাউলের পিঠা, মুঠি পিঠা, ভাপাপিঠা, তারা পিঠা, গ্রাম-বাংলা পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, সেমাই পিঠা। মেলায় নানা রকমের বাহারি আচার ও মিষ্টি ছিল।
এই উৎসব শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা ও আনন্দের সঞ্চার করে।
বিকেলে শ্রেষ্ঠ স্টলের মাঝে পুরস্কার বিতরণে মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী পিঠা উৎসব শেষ হয়। আয়োজকরা জানান, এক সময়ে পৌষ-পার্বণ এলেই বাঙালির ঘরে ঘরে তৈরি হতো নানান রকমের পিঠা। কালের বিবর্তনে তা অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে। সেই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এবার আয়োজন করা হয় পিঠা উৎসবের। পরে পাশে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে নৃত্য, সংগীত ও কবিতা আবৃত্তিতে অংশ নেন বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীরা।